বাসা ভাড়া নিতে এসেছিলেন দুজন। ঘরে ছিলেন ষাটোর্ধ্ব বাড়িওয়ালি ও চল্লিশোর্ধ্ব গৃহকর্মী। পরে বাড়িটিতে রঙের কাজ করতে থাকা রংমিস্ত্রিরা এসে দেখেন দরজা খোলা, পড়ে আছেন বাড়িওয়ালি ও গৃহকর্মী। রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়া এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাড়িওয়ালি ও গৃহকর্মী।
আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী লুৎফা বেগম (৬৫) ও গৃহকর্মী স্বরূপা বেগমকে (৪০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের নিয়ে আসা হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডে তাদের ভর্তি করেন।
লুৎফা বেগমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। দুপুরে আমি অফিসে ছিলাম। আমাদের বাড়িতে রংমিস্ত্রিরা কাজ করছিল। কাজ শেষ হলে তারা আমার মাকে ফোন দিলে মা ফোন ধরেন না। পরে তারা বাসায় এসে দেখে দরজা খোলা এবং আমার মা ও গৃহকর্মী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। এরপর বিষয়টি আমাকে তারা ফোনে জানায়। সাথে সাথে আমি অফিস থেকে বাসায় চলে আসি। এসে দেখি আমার মা ও গৃহকর্মী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে ওয়ার্ডে ভর্তি দেন চিকিৎসক।’
রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রংমিস্ত্রিরা জানায়, আজ আমাদের ৩য় তলায় বাসা ভাড়া নিতে আসে দুই নারী। আমার মা মিস্ত্রিদের কাজ করতে বলে বাসায় আসে। পরে আমার মা ও আমাদের বাসার গৃহকর্মীকে অচেতন করে বাসায় থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, আমার মায়ের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, হাতে থাকা আড়াই ভরি ওজনের বালা এবং ৬ আনা ওজনের কানের দুল নিয়ে যায় প্রতারক চক্ররা। বাসায় শুধু আমার মা ও গৃহকর্মী ছিলেন। বাসায় এসে মায়ের পাশে জুসের বোতল পড়ে থাকতে দেখি। জুস খাইয়েই তাদের অচেতন করেছে প্রতারক চক্র। মা আর গৃহকর্মীর জ্ঞান ফিরলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।’
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ডেমরা এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় দুই নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে তাদেরকে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে প্রতারক চক্র বাসায় ঢুকে অচেতন করে তাদের টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে।