আগামী ২ মাসের মধ্যে বিপণি বিতান চালু হচ্ছে মেট্রোরেল স্টেশনে। থাকছে শপিং মল, সুপার শপ, ব্যাংক ব্যবস্থাও। ইতোমধ্যে ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশনে দোকান ভাড়া দিতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোরেলের এমআরটি সিক্স লাইনে মোট স্টেশন ১৭টি। এর মধ্যে কমলাপুর বাদে বাকি সব স্টেশন চালু আছে। প্রতিটা স্টেশন দুই তলা হলেও শুধু ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশন দুটি তিন তলাবিশিষ্ট।
এবার ট্রেনে চলাচলের পাশাপাশি মেট্রো স্টেশনে কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছেন যাত্রীরা। ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশনের ২৫ হাজার বর্গফুট ফাঁকা জায়গা বাণিজ্যিক ব্যবহারের কাজ এগিয়ে চলেছে। ভাড়া নিয়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান দোকান করতে পারবে। ইজারার মেয়াদ ১০ বছর। যা নবায়নযোগ্য নয়।
এরই মধ্যে স্টেশনে চালু হয়েছে এটিএম বুথ। তবে, কোনো দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার কিংবা আগুনের ব্যবহার করা যাবে না।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘রিটেইল শপ থাকতে পারে। কোনো ব্যাংকিং বা কমার্সিয়াল প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হয়ত আমরা ভাড়া দেওয়া শুরু করতে পারব।’
মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে প্রতিদিন চলাচল করছেন চার লাখের বেশি যাত্রী। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে দৈনন্দিন জীবন আরও সহজ হবে বলে আশা তাদের।
একজন যাত্রী বলেন, ‘ধরেন আমি সকালে নাস্তা খাইনি। এখানে আসলাম আমি একটা স্যান্ডউইচ খেলাম বা কিছু কেনাকাটার থাকলে এখানেই করলাম। এটা সবার জন্যই খুব স্বস্তির হবে। আমাদের তো অনেক কিছু প্রয়োজন হয় অনেক সময়। এখান থেকেই কিনে আমরা বাসায় বা গন্তব্যে যেতে পারি।’
বাণিজ্যিক ব্যবহারের টেকসই সুফল পেতে মেট্রো স্টেশনগুলোতে পরিচ্ছন্নতায় আরও নজর দেওয়ার পরামর্শ যাত্রীদের।