মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মিতু আক্তারকে (৩২) ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর তাঁর স্বামী সুমন মিয়া আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার রাত ২টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভোর ৫টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন সুমন।
নিহত মিতু আক্তার ওই পৌরসভার নৈয়দিঘীর পাথর গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে। সুমন মিয়া (৫০) মিরকাদিম পৌরসভার পূর্বপাড়ার শরিয়তউল্লা মিয়ার ছেলে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, প্রায় আট মাস আগে মিতু আক্তারকে বিয়ে করেন সুমন। মিতু আক্তারের আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তিনটি সন্তান রয়েছে। সুমনেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। কিছুদিন আগে ঝগড়া করে মিতু তাঁর বাবার বাড়িতে চলে গেলে গতকাল তাঁর স্বামীর বন্ধুরা তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। সেদিনই রাত ২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে তাদেরই সহযোগিতায় স্ত্রী মিতুকে ধারালো বটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সুমন। পরে ভোরে স্বেচ্ছায় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে নিজেই থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি অবগত করে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী সুমন মিয়া। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।