ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার রাতে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মৃত্যু’র ঘটনা তদন্ত এবং এসংক্রান্ত আইনি ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া ধারাবাহিক পদক্ষেপ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সাম্য’র পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আজ বুধবার উপাচার্য কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাম্য’র পিতা মো. ফকরুল আলম এই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং সাম্য’র ৩ ভাই এস. এ. এম. আমিরুল ইসলাম, এস. এ. এম শরীফুল আলম ও এস. এ. এম শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে আমরা সকল প্রকার রাজনীতির বাইরে থাকতে চাই।’
তিনি সাম্য’র পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘যেকোনো প্রয়োজনে সাম্য’র পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বদা তাদের পাশে থাকবে।’
সাম্য’র পিতা মো. ফকরুল আলম অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রশাসনের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
গত ১৩ মে রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কুন হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আসছে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠন। সাম্য হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় গত ১৪ মে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হল।