মোবাইল ক্লোনের জিডি করে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দীপক ঘোষকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষের ব্যাবহত মোবাইল ফোন ক্লোন হয়। এরপর ওই মোবাইল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে টাকা চাওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে দীপক কুমার ঘোষ গতকাল দুপুরে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান। জিডির কাজ শেষ করে দীপক কুমার থানা থেকে বের হয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে খালপাড় পর্যন্ত গেলে জরুরি কথা বলে থানা থেকে মুঠোফোনে তাঁকে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর কোনো কথা না বলে থানার ভেতরে বেশ কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র–জনতার ওপর হামলা মামলায় দীপক ঘোষকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অ্যাডভোকেট দীপকের সহকারী উদ্ধব সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘দীপক কুমার ঘোষ একই ঘটনায় অন্য একজনের দায়ের করা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। এরপর নিম্ন আদালতে জামিন বহাল রাখেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। ২০২৫ সালে জানুয়ারি মাসে সদর থানায় একই ঘটনায় কিরণ নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে দীপক ঘোষকে থানায় ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এরপর সারারাত বসিয়ে রেখে আজ দুপুরে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে-২ তাঁর জামিন শুনানি হলে বিচারক ফারিহা নোশীন বর্ণী জামিন নামঞ্জুর করে দীপক ঘোষকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ‘দীপক কুমার ঘোষ জামিনে থাকলেও ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় একাধিক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওইসব মামলায় দীপক ঘোষ অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রয়েছেন।’