নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়ার ভুলতা ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক যুবক আহত হয়েছেন। এ সময় তাঁর মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
আহত মো. জাহিদুল ইসলাম (৩০) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর গ্রামের আবুল কালাম ইসলামের ছেলে। তিনি ফকিরাপুলে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করেন এবং ফকিরাপুল এলাকাতেই থাকেন।
আহত জাহিদুল বলেন, ‘রাতে ফকিরাপুল থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে আমার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি নরসিংদী থেকে আনতে যাচ্ছিলাম। ভুলতা ফ্লাইওভারে ওঠামাত্র একটি মোটরসাইকেলে তিনজন ছিনতাইকারী আমার পথ রোধ করে দাঁড়ায়। পরে আমি দেখতে পাই আরও তিন চার জন ছিনতাইকারী ফ্লাইওভারে আগে থেকেই ওঁত পেতে ছিল। কোন কিছু বলার আগেই তারা আমাকে জোর করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারীদের দুজন আমার মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই সময় আমি দৌড়ে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেলের চাবিটি জোর করে আমার হাতে নেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য দুজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ডান হাতে কোপ দিলে আমার একটি আঙ্গুল কেটে যায়।’
জাহিদুল বলেন, ‘ঠিক ওই সময় একটি লরি ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়ার সময় আমি ওই গাড়িটিকে সংকেত দিলে গাড়িটি গতি কমালে আমি দৌড়ে গিয়ে সেটিতে উঠে পড়ি। তখন কয়েকজন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ডান হাতের পেছনে কয়েকটি কোপ দেয়। পরে ওই লরি চালক আমাকে ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পৌঁছে দেযন।’
তিনি বলেন, ‘পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আসি। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আমাকে জাতীয় বান ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, রাতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে তাকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
ফারুক বলেন, ‘আমরা আহত যুবকের কাছ থেকে জানতে পারি, ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার এই ঘটনা ঘটেছে। পরে আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’