একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের চিকিৎসকদের কোরামের কারণে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (নিটোর) আহতদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আহতদের একটি অংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানের বছর গড়ালেও, এখনও হাসপাতালে আহতদের অনেকে। তারা কবে নাগাদ সুস্থ হবেন তা নিশ্চিত নন খোদ চিকিৎসকেরাও।
আহতদের দাবি, এতদিন চিকিৎসা নিয়েও যেহেতু সুস্থ হননি, তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য সবাইকে যেন বিদেশে নেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন একজন আহত বলেন, ‘আমার ছয় ইঞ্চি হার নেই, আমি কিভাবে কর্মস্থলে ফিরে যাব? আমার ছেলে মেয়ে তো না খেয়ে আছে। কে দেখবে? ডাক্তাররা বলেছে, সারতে সময় লাগবে অনেক দিন।’
আরেকজন আহত বলেন, ‘আমার একটা ফ্যামিলি আছে। আমার একটা বাচ্চা আছে ৩ বছরের। আমি উপার্জন করতাম। এখন আমি ১১ মাস ধরে এ অবস্থায় আছি। আমার ফ্যামিলি ধ্বংস। উন্নত চিকিৎসা অতি শিগগির দিতে হবে। আমরা হাসপাতালে মাত্র ১১ জন ভর্তি আছি। চক্ষু বিজ্ঞানে তো আমাদের একজন আহত ভাইকেও চিকিৎসা দিচ্ছে না।’
দুপুরে বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা আহতদের চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে গেলে সুচিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। ওয়ার্ডে নিয়োজিত চিকিৎসক ও নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তৈরি হয় বিতণ্ডা।
পরে বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, সরকারের উচিত মেগা প্রকল্পের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আগে জুলাইয়ে আহতদের চিকিৎসায় নজর দেওয়া।
রিফাত রশিদ বলেন, ‘আজকের যেই বাস্তবতা, এটা কিন্তু ১ দিনের না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি আহতরা আন্দোলন করছে। আহতরা সংগ্রাম করছে, কিসের জন্য? চিকিৎসার জন্য, একটা প্রোপার ট্রিটমেন্ট। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এর কারণ কোনো একটা রাজনৈতিক দলের যে চিকিৎসকদের গ্রুপ, সেই গ্রুপের সিন্ডিকেটকে তারা (আহতরা) আটকে দিয়েছে। বন্ধ করে দিয়েছে। তারপর থেকে নাকি তাদেরকে এ ধরণের আক্রমণ করা হয়েছে।’
চিকিৎসার পাশাপাশি হাসপাতালের খাবারের মান ও পরিবেশ নিয়েও অভিযোগ করেন জুলাই যোদ্ধারা।