এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ৫০ শতাংশই ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) বাসিন্দা বলে তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ডিএসসিসির দাবি, বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখানকার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তাই মৃত্যুও বেশি। আর সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বরিশাল বিভাগের। তাই রোববার বিশেষ কার্যক্রম নিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বছর ১২ হাজার ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ৬ হাজারই জুন মাসে। আর এ মাসের পাঁচ দিনে আক্রান্ত ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে।
মৃত্যুরও সংখ্যাও বেড়েছে জুনে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৪৫ জন। যার মধ্যে জুনেই ১৯ জন। আর জুলাইয়ে ৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে।
এ পরিস্থিতিতে এডিস মশা নিধনে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পুরান ঢাকার ৬টি ওয়ার্ডে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে।
ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমাদের কোনো রকমের গাফিলতি নাই। আমাদের কর্মীরা নিয়মিত পরিস্কার করে। তবে এই বিশেষ অভিযানের উদ্দেশ্য যে এটা শুধু সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নয়, জনগণেরও দায়িত্ব আছে। এ কারণে আমরা মূলত আজকের এই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে চাচ্ছি।’
এদিকে, এ বছর ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বরিশাল বিভাগে। মোট আক্রান্তের অর্ধেকেই এ বিভাগে। বিশেষ কার্যক্রম নিয়ে রোববার যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি দল।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘বরিশাল ও বরগুনাতে পরিস্থিতি খারাপ ছিল। ওখানে বৃষ্টির পানি ধারণ করে রাখার কারণে এটা হয়েছে। আমরা সরকারিভাবে, বৃষ্টির পানি ধারণ যেখানে করবে সেখানে ঢাকনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এটা বিনামূল্যে সরকারিভাবেই আমরা দিব। আর মানুষকে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য আরও কিছু আধুনিক প্রযুক্তি আমরা দিচ্ছি যাতে ডেঙ্গুর প্রভাবটা না বাড়ে।’
রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় এডিসের লার্ভার ঘনত্ব মিলছে ব্রুটো ইনডিক্সে ২০ এর বেশি। যা আশঙ্কাজনক বলছেন কীটতত্ত্ববিদেরা।