আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্ট হামলা: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২, ১২:২৫ পিএমআপডেট : ২১ আগস্ট ২০২২, ০৪:৫৭ পিএম
রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টের নিহতদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তৎকালীন বিএনপি সরকারের সংশ্লিষ্টতা না থাকলে ২১ আগস্ট প্রকাশ্যে এতগুলো গ্রেনেড হামলা সম্ভব হতো না বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৪ সালের ভয়াবহ সেই হামলার মূল্য লক্ষ্য ছিল তাকে হত্যা করা এবং আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। ২১ আগস্ট হামলার ১৮ বছর উপলক্ষে রোববার সকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার আলামত নষ্ট করতে হামলার পর প্রতিটি স্থানই সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়।
সেদিনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিনের একটি গ্রেনেডও যদি ট্রাকের ওপর পড়তো তাহলে তিনিসহ কেউ হয়তো বেঁচে থাকতেন না।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে আবার ওবায়দুল কাদেরকে সাথে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে শ্রদ্ধা জানান।
পরে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়ে যোগ দেন আলোচনা সভায়। দীর্ঘ তিন বছর পর ২১ আগস্টের বোমা হামলাস্থলে সশরীরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, ২১ আগস্টের এই আলোচনা সভায় যোগ দিতে সকাল থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যোগ দেন। লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো গুলিস্তান এলাকা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো হয় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। নিহত হন দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার শ্রবণশক্তি।
সেদিন সন্ত্রাস ও বিএনপি সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের। মঞ্চ তৈরির অনুমতি না থাকায় একটি ট্রাকেই বানানো হয় অস্থায়ী মঞ্চ।
বিকেল ৫টা ২ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২০ মিনিট পর জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ থেকে নামতে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই ট্রাকের বাঁ পাশে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয় একটি গ্রেনেড। সঙ্গে সঙ্গেই বসে পড়েন তিনি। এসময় অন্য নেতারা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন।
এক-দেড় মিনিটের ব্যবধানে ঘটে ১৩টি বিস্ফোরণ। এসময় শেখ হাসিনাকে দ্রুত ট্রাক থেকে নামিয়ে তার গাড়িতে তুলে দেন নেতারা। এরপর বৃষ্টির মতো শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সব বাধা পেরিয়ে ধানমন্ডির সুধা সদনে পৌঁছে যান তিনি। ভয়াবহ এই হামলায় মারা যান আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন কয়েকশো নেতাকর্মী।
এখানেই শেষ নয়, আহতদের যখন হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন পাওয়া যায়নি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। ব্ল্যাড ব্যাংকে ছিল না রক্তও। জাতির পিতা ও চার নেতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকেই মুছে ফেলতে সুপরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়, বলছেন দলের নেতারা।
এরপর চলে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। হামলাকারীদের দেশের বাইরে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনাস্থলের আলামতও নষ্ট করা হয়। উদ্ধার হওয়া অবিস্ফোরিত গ্রেনেড আলামত হিসেবে না রেখে করা হয় ধ্বংস।
ইতিহাসের জঘন্যতম এই রাজনৈতিক হামলার পর স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো দেশ। জজ মিয়াসহ চলে নানা নাটকীয়তা। পরে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরো ১১ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয় আদালত।
ঢাকা-ভৈরব রেলপথে ‘নরসিংদী কমিউটার’ নামের নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কমলাপুরে এ ট্রেন দুইটির উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির।
ফরিদপুরে সাবেক এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সহযোগী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলার অন্যতম আসামি, রুকসুর সাবেক ভিপি, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাওসার আকন্দসহ...
বয়স চল্লিশ পেরোলে দাঁতের একটু বেশিই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এর আগ পর্যন্ত কোনো মাড়ির অসুখ না থাকলে সেভাবে এনামেল ক্ষয় হয় না। তবে ৪০-৪৫ বছরের পর এনামেল দ্রুত ক্ষয় হয় বলে দাঁতের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। এ...
ইংরেজিতে বলে উইচ, বাংলায় ডাইনি। আরও নানা ভাষাতেও নিশ্চিতভাবেই এই শব্দটির উপযুক্ত পারিভাষিক শব্দ আছে। থাকতেই হবে। কারণ সব ভাষাতেই এই শব্দটিকে ভয়ঙ্কর রূপ দেওয়ার বা ভীতি উৎপাদনকারী বানানোর উদ্দেশ্য...
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট। এটার কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা হয়নি। বিএনপি বারবার বলেছে, নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য। না হলে দেশের সংকট...
আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্ট হামলা: প্রধানমন্ত্রী
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার আলামত নষ্ট করতে হামলার পর প্রতিটি স্থানই সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়।
সেদিনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিনের একটি গ্রেনেডও যদি ট্রাকের ওপর পড়তো তাহলে তিনিসহ কেউ হয়তো বেঁচে থাকতেন না।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নিহতদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে আবার ওবায়দুল কাদেরকে সাথে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে শ্রদ্ধা জানান।
পরে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিয়ে যোগ দেন আলোচনা সভায়। দীর্ঘ তিন বছর পর ২১ আগস্টের বোমা হামলাস্থলে সশরীরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, ২১ আগস্টের এই আলোচনা সভায় যোগ দিতে সকাল থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যোগ দেন। লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো গুলিস্তান এলাকা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে চালানো হয় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। নিহত হন দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার শ্রবণশক্তি।
সেদিন সন্ত্রাস ও বিএনপি সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজন করা হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের। মঞ্চ তৈরির অনুমতি না থাকায় একটি ট্রাকেই বানানো হয় অস্থায়ী মঞ্চ।
বিকেল ৫টা ২ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ২০ মিনিট পর জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করে মঞ্চ থেকে নামতে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তেই ট্রাকের বাঁ পাশে প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হয় একটি গ্রেনেড। সঙ্গে সঙ্গেই বসে পড়েন তিনি। এসময় অন্য নেতারা মানবঢাল তৈরি করে তাকে রক্ষা করেন।
এক-দেড় মিনিটের ব্যবধানে ঘটে ১৩টি বিস্ফোরণ। এসময় শেখ হাসিনাকে দ্রুত ট্রাক থেকে নামিয়ে তার গাড়িতে তুলে দেন নেতারা। এরপর বৃষ্টির মতো শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সব বাধা পেরিয়ে ধানমন্ডির সুধা সদনে পৌঁছে যান তিনি। ভয়াবহ এই হামলায় মারা যান আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন কয়েকশো নেতাকর্মী।
এখানেই শেষ নয়, আহতদের যখন হাসপাতালে নেয়া হয়, তখন পাওয়া যায়নি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। ব্ল্যাড ব্যাংকে ছিল না রক্তও। জাতির পিতা ও চার নেতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগকেই মুছে ফেলতে সুপরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়, বলছেন দলের নেতারা।
এরপর চলে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা। হামলাকারীদের দেশের বাইরে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনাস্থলের আলামতও নষ্ট করা হয়। উদ্ধার হওয়া অবিস্ফোরিত গ্রেনেড আলামত হিসেবে না রেখে করা হয় ধ্বংস।
ইতিহাসের জঘন্যতম এই রাজনৈতিক হামলার পর স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো দেশ। জজ মিয়াসহ চলে নানা নাটকীয়তা। পরে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরো ১১ জনকে নানা মেয়াদে সাজা দেয় আদালত।
/ই.হ/