ক্ষতিকর গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ পার্থেনিয়াম নিধনে মাঠে নেমেছে যশোরের প্রশাসন। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে মানব ও প্রাণীদেহের পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে পার্থেনিয়ামের বিরুপ প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ উদ্যোগ নেওয়া হলো।
এ উপলক্ষে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, পার্থেনিয়াম নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন। আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদ্ধতিতে এর নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। সেই সাথে নিজে ও অপরকে সচেতন করতে হবে।
ইয়াহান সামাজিক সংঘের উদ্যোগে সদর উপজেলার হাশিমপুরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, ১০ বছর পর্যন্ত মাটিতে জীবিত থাকতে পারে পার্থেনিয়ামের বীজ। গবাদিপশুর গায়ে লাগলে পশুর শরীর ফুলে যায়। তীব্র জ্বর, বদহজমসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। যকৃত পঁচে যায়। বিশেষ করে গাভী পার্থেনিয়াম খেলে দুধ তিতা হয়। ওই দুধ এবং মাংস অনবরত খেলে সেই মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। পার্থেনিয়ামের প্রভাবে মানব শরীরে দেখা দেয় এজমা, ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়। পার্থেনিয়াম আক্রান্ত জমিতে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমে যায় ফসলের।
সম্প্রতি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রচার হলে ইয়াহান সামাজিক সংঘ নামের একটি সংগঠন পার্থেনিয়াম নিধন ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ক্রাস প্রোগ্রাম চালানো হয়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রাশেদুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী। ইয়াহান সামাজিক সংঘের জ্যেষ্ঠ সদস্য ফখরুদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব রায়হান সিদ্দিক।
এ সময় বক্তারা বলেন, পার্থেনিয়ামের ক্ষতি এড়াতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এখন সাধারণ মানুষের সতর্কতা প্রয়োজন। যাতে সম্মিলিতভাবে একে রোধ করা যায়।