যশোরের শার্শায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচ জনসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন– বহিলাপোতা গ্রামের একই পরিবারের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৭৫), আব্দুর রশিদ (৭০), আব্দুর রশিদের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৫৫), ছেলে শাহীন আলম (২৭), আব্দুর মুজিদের ছেলে হাদিউজ্জামান (৪০) ও প্রতিপক্ষের আব্দুল লতিফের ছেলে আবুল কালাম (২৫), রেজাউল হোসেন (৪৫)। আহতদের মধ্যে হাদিউজ্জামান ও আব্দুল রশিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আব্দুল মজিদ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ২০ শতাংশ জমি প্রতিপক্ষ আব্দুল লতিফ জবর দখল করে রেখেছেন। আব্দুল লতিফের ছেলে রেজাউল হুমকি দিয়ে আসছেন। রেজাউলের প্রবাসী ভাই বিল্লাল হোসেনের স্ত্রীকে উত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। রেজাউল হোসেন রাতের আঁধারে বাড়ির মধ্যে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করে, মাঠের সেচ মোটর, মোবাইল চুরিসহ নানান অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না তাঁরা । রেজাউলরা ৭ ভাই হওয়ায় কেউ কিছু বললে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ ও প্রতিবাদকারীকে মারপিট করে।
আব্দুল মজিদ আরও বলেন, ‘আমার জমি থেকে বাঁশ ও বাঁশের কঞ্চি কাটার সময় বাধা দিলে প্রতিপক্ষ আব্দুল লতিফের নির্দেশে পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।’
এ ব্যাপারে আব্দুল লতিফের ছেলে আহত আবু কালাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সত্য নয়।’
ইউপি সদস্য আব্দুল জাব্বার বলেন, ‘শনিবার দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুল লতিফ ও তাঁর ৭ ছেলে প্রতিপক্ষ আব্দুল রশিদ ও আব্দুল মজিদের পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। আব্দুল লতিফের ছেলে রেজাউলের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষের অনেক অভিযোগ রয়েছে।’
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এমন ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’