মাগুরায় ধর্ষণের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সেই শিশুটির প্রথম জানাজার পর আসামিদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে এলাকার লোকজন। আজ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পৌরসভার নিজ নান্দু আলী এলাকায় লোকজন প্রথমে ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এরপর ওই বাড়িতে আগুন দেয়।
রাত ৮টার সময় এই খবর লেখা পর্যন্ত বাড়িতে আগুন জ্বলছিল। কাউকে আগুন নেভাতে দেখা যায়নি। এর আগে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরে নোমানী ময়দানে শিশুটির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজারো মানুষ অংশ নেয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই আসামিদের ওই বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় লোকজন।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শিশুটির মরদেহ মাগুরা স্টেডিয়ামে পৌঁছে। এরপর শহরে নোমানী ময়দানে জানাজা শেষে শ্রীপুরে তার গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে তার মরদেহ সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায় শিশুটি।
গত ৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে, গত ৫ মার্চ মাগুরা শহরতলীর একটি এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় শিশুটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও আহত করার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় শিশুটির ভগ্নীপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। এরই মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।