চুয়াডাঙ্গায় শিশু ছাত্রকে বলাৎকার করার অপরাধে এক মসজিদের মোয়াজ্জিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড পাওয়া নাজমুল ইসলাম (২৭) জীবননগর উপজেলার সেলিম উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশি পাহারায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৬ মে মসজিদের ভেতরে ওই শিশুকে বলৎকার করেন মোয়াজ্জিন নাজমুল ইসলাম। বাড়ি ফিরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনা নিয়ে শিশুটির মা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
একই বছরের ৩০ জুন আসামি নাজমুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলী মিয়া। আদালতে বিচারকাজ চলাকালে সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক মামলার একমাত্র আসামি নাজমুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। অর্থদণ্ডের টাকা ভুক্তভোগী শিশুর কল্যাণে ব্যবহার করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, ‘দণ্ড পাওয়া নাজমুল এলাকার একটি মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন। তিনি আরবি শিক্ষা কার্যক্রমেরও শিক্ষক ছিলেন। বলৎকারের শিশুটি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল এবং আরবি শিক্ষার জন্য শিক্ষক নাজমুল ইসলামের আছে আসত।’