নড়াইলের কালিয়ায় প্রতিপক্ষের বাড়ির পেছন থেকে রফিকুল মোল্লা (৩৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাবলা হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের রিকাইল শেখের বাড়ির পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রফিকুল মোল্য কাঞ্চনপুর গ্রামের আজিজুল মোল্যার ছেলে। পেশায় তিনি একজন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক। এসময় তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রাস্তার পাশে পাওয়া যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ এপ্রিল বিরোধের জেরে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে আফতাব মোল্যা গ্রুপের ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামের একজন নিহত হন। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মিলন মোল্যার পক্ষের রফিকুল আসামি ছিলেন। মামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, রফিকুল মামলার ১৮ নম্বর আসামি। আজ সকালে প্রতিপক্ষ আফতাব মোল্যা পক্ষের সমর্থক রিকাইল শেখের বাড়ির পাশে রফিকুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের শ্যালক শামীম বলেন, ‘কিছু দিন আগে একটি হত্যার ঘটনায় আমার ভগ্নিপতির নামে মামলা দায়ের হয়। তিনি ওই মামলার ১৮ নম্বর আসামি ছিলেন। তিনি আসামি হওয়ার পর থেকে পালিয়ে জীবনযাপন করছিলেন। আজ আমার বড় বোন ফোন দিলে জানতে পারি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি প্রতিপক্ষের রিকাইলের বাড়ির পেছনে আমার ভগ্নিপতির মরদেহ পড়ে আছে।’
নিহতের স্ত্রী অজুফা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো মারামারির ভেতর থাকতেন না। হত্যা মামলায় তাঁকে আসামি করায় পুলিশের ভয়ে পালিয়ে জীবনযাপন করছিলেন। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়াইলের কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’