খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে এবার প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এতে শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদানসহ সব কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা।
গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা। একই দাবিতে পর দিন ৭ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
সেই সময়সীমা শেষ হয় গতকাল রোববার। এদিন দাবি আদায়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমও বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।
কুয়েট শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকদের কর্মসূচির কারণে কুয়েটের প্রশংসাপত্র প্রদান, খাতা দেখা, পরিকল্পনা উন্নয়ন, হল ব্যবস্থাপনা সকল কর্মকাণ্ডে বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আবারও উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।’
এর আগে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও শিক্ষকরা না ফেরায় দেখা দেয় অচালবস্থা। সংকট কাটাতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
এদিকে, কুয়েটের রেজিস্ট্রারের দাবি, সংকট নিরসনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব চেষ্টাই চলছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটেন অপ্রীতিকর এবং শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তা সঠিক।’
শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ৩ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ক্লাস ও পরীক্ষা।