সংস্কারের অভাবে খুলনা মহানগরের অধিকাংশ খেয়াঘাট বেহাল দশা। ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। মাঝে-মাঝেই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে শিগগিরই ঘাট সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
দিঘলিয়া ও রূপসা উপজেলাকে খুলনা নগরী থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ভৈরব ও রূপসা নদী। শহরের সঙ্গে রূপসা উপজেলার সড়কপথ থকলেও দিঘলিয়া উপজেলা পুরোপুরি নির্ভরশীল নৌ-রুটের ওপর। প্রতিদিন খেয়াঘাট দিয়ে দুই উপজেলার লক্ষাধিক যাত্রী জেলা শহরে যাতায়াত করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, খুলনা মহানগরীতে দিঘলিয়া, দৌলতপুর, নগরঘাটসহ ১৭টি খেয়াঘাট রয়েছে। ঘাটগুলোর বেশিরভাগই অনেকটা খাড়াভাবে তৈরি, কোথাও ভাঙা, আবার কোথাও দেবে গেছে, কোনোটির পন্টুনে আবার ছোট-বড় গর্ত।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, ‘এসব ঘাট দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা। মাঝে মাঝেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।’
খুলনা অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন পরিচালক মোহা. মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘ঘাটগুলোর আধুনিকায়নে কাজ চলছে। সমস্যাগুলোর সমাধানেও কাজ চলছে। বিআইডব্লিউটিসি যে সমস্ত ঘাট পরিচালনা করে, সে সমস্ত ঘাট আধুনিকায়নের জন্য অলরেডি আমাদের বিভিন্ন ধরনের স্টাডি (ফিজিবিলিটি স্টাডি) চলছে। এবং যাত্রী পারাপারে যে সমস্ত সুবিধাদির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, আমরা দ্রুতই তা করব।’