জামালপুরে মঞ্জিলা বেগম নামের এক নারীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। এ সময় ছেলের ছুরির আঘাতে গাছ কাটতে আসা শেখ ফরিদ নামের আরেক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহত শেখ ফরিদ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরতলীর চন্দ্রা ঘুন্টি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মঞ্জিলা বেগম ওই এলাকার তোতা মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্তের নাম মো. মঞ্জু। তিনি নিহতের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ির পাশে একটি গাছ কাটার জন্য শেখ ফরিদের সাথে যোগাযোগ করেন মঞ্জিলা বেগম। আজ সকালে গাছ কাটতে গেলে গাছের দাম নিয়ে শেখ ফরিদ ও মা মঞ্জিলা বেগমের সাথে ছেলে মঞ্জুর কথা-কাটাকাটি হয়। এরপরেও গাছ কাটতে গেলে ধারালো ছুরি দিয়ে শেখ ফরিদকে কোপানো শুরু করে মঞ্জু। এসময় মা মঞ্জিলা বেগম বাধা দিতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও গলা গেটে হত্যা করেন মঞ্জু। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ওসি (তদন্ত) আনিছুল আশেকীন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধারের পাশাপাশি নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত মঞ্জুকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’