ঢাকা থেকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জগামী একটি ট্রেনের সংযোগ হুক ভেঙে যাওয়ায় বগি রেখেই ইঞ্জিন চলে গেছে অন্য স্টেশনে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনটি মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছাড়ার পর চল্লিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংযোগ হুক ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বগিগুলো রেখে ইঞ্জিন বেশ কিছুটা দূরে চলে যায়। ইঞ্জিনটি একটি বগিসহ নেত্রকোনা স্টেশনে পৌঁছায়। বাকি বগিগুলো চল্লিশা এলাকায় থেকে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নেত্রকোণা বড় রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আসা মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথমে শ্যামগঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছায়। যাত্রাবিরতি শেষে ছাড়ার কয়েক মিনিট পর চল্লিশা এলাকায় আসলে বগির সংযোগ হুক ভেঙে যায়। পরে একটি বগিসহ ইঞ্জিনটি নেত্রকোণা বড় স্টেশনে চলে আসে। আর বাকি বগিগুলো চল্লিশা ব্রিজ এলাকায় থেকে যায়। ট্রেনটি উদ্ধারে ময়মনসিংহ থেকে একটি ইঞ্জিন নিয়ে লোকজন আসছে। তারা এসে সমস্যা সমাধান করে ট্রেনটি চালু করা হবে। এতে কিছটা সময় লাগবে।’
এদিকে এমন ঘটনার পর ঢাকা থেকে আসা নেত্রকোণা বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জগামী যাত্রীরা বেশ বিপাকে পড়েছেন। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বাস ও অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন।
ট্রেনের যাত্রী মোহনগঞ্জ শহরের বাসিন্দা রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলাম। পথে শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়ার কিছু সময় পর হঠাৎ করে ট্রেনের গতি কমতে থাকে। পরে জানা গেছে যে ট্রেনের ইঞ্জিন চলে গেছে বগি ফেলে। শেষে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বাস ও সিএনজি করে রওনা হয়েছেন। এতে মালামাল নিয়ে যাত্রীরা বেশ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আমি নিজেও বাসে করে গন্তব্যে রওনা হয়েছি।’