শেরপুরে গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি এবং ভারতের মেঘালয় ও আসামে অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েক দফা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতে কিছু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পাঠানো এক জরুরি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো আগামী ২০ মে পর্যন্ত সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে করে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কৃষিরও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে থাকা আধা-পাকা ধান দ্রুত কেটে নিরাপদ স্থানে রাখার আহ্বান জানিয়েছে শেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ। বিশেষ করে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলাগুলোতে যেসব ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, তা কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) জাহিদ হাসান রাসেল জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ধান কেটে নিরাপদ স্থানে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
স্থানীয় প্রশাসন এরই মধ্যে বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গত রাত থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। প্রশাসনের পাশাপাশি সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।