নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য শিউলি বেগম নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ হত্যার দায়ে স্বামী শাহাজামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদলত। এ সময় তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম অভিযুক্তের উপস্থিতিতে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহাজামাল গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর বাবলাতলা গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি অ্যাড. আব্দুল কাদের মিয়া।
মামলার বরাত দিয়ে এই আইনজীবী জানান, প্রেমের পর শাহাজামাল ও শিউলি বেগম বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে শাহাজামাল ও তাঁর বাবা-মা ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধূর ওপর নির্যাতন শুরু করেন। পরে শিউলির বাবা ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাঁকি ৫ হাজার টাকার জন্য আবারও নির্যাতন করতে থাকেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি মধ্যরাতে স্বামী শাহাজামাল ও তাঁর বাবা-মা মিলে নির্যাতন করে গৃহবধূ শিউলী বেগমকে শ্বাসরোধ করেন। হত্যার পর মরদেহ বাড়িতে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। পরের দিন সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
অ্যাড. আব্দুল কাদের আরও জানান, এ ঘটনায় শিউলী বেগমের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহাজামাল ও তাঁর বাবা-মাকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত শাহজামালকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ ১৩ বছর মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে অভিযুক্তের উপস্থিতিতেই এই রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। রায়ে জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে বলে উল্লেখ করা হয়।