পঞ্চগড়ে পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী–শিশুসহ ১৫ জনকে পুশ–ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নীলফামারী ৫৬-বিজিবির আওতাধীন উপজেলা সদরের চাকলাহাট ইউনিয়নের খুনিয়াপাড়া ও অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ–ইন করা হয়।
বিজিবি জানায়, সকালে খুনিয়াপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৬৪ এর ১৯ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জনকে পুশ–ইন করে ৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কৈলাশ বিওপির সদস্যরা। পরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে বিজিবির শিংরোড বিওপি সদস্যরা তাদের আটক করে। আটকদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে।
একই রাতে, অমরখানা সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩ এর ৩ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে নারী–শিশুসহ ৫ জনকে পুশ–ইন করে ৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের সদস্যরা। সকালে অমরখানা বিওপি সদস্যরা স্থানীয় বোর্ডবাজার এলাকায় তাদের আটক করে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যান বিজিবি সদস্যরা। এদের মধ্যে দুই নারী, একজন পুরুষ ও দুইজন শিশু রয়েছে। আটকদের সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আটক খুলনা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের মধ্যে খুনিয়াপাড়া সীমান্তে আটক ১০ জনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অমরখানা সীমান্তের আটক ৫ জনকে থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় বিজিবি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান, বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে পুশইন হওয়া ১০ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিক কিনা, এ বিষয়ে যাচাইবাছাই সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত দুই মাসে সাত দফায় নারী ও শিশুসহ ১০১ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।