কমতে শুরু করেছে সিলেট-সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি। শুধু সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটার পানি স্থিতিশীল থাকবে। উজানের চেরাপুঞ্জি ও শিলচরে ভারী বৃষ্টি কমেছে। তাই উজানের ঢল এলেও হাওরে এবার তীব্র বন্যার আশঙ্কা কম।
উজানের ঢল তীব্র হবে এমন খবর শুনে সুনামগঞ্জের হাওরে শুরু হয় ধান কাটার ব্যস্ততা। হাতে সময় কম তাই মাঠের ধান ঘরে তুলতে দম ফেলার সময় নেই।
১ মে থেকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হয়। তবে ২ মে রাত থেকে চেরাপুঞ্জি, শিলচর, আইজল, কৈলাশহরে বৃষ্টি কমেছে। যা ৪ মে থেকে আরও কমে আসবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যার কোনো শঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বডুয়া জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে পানি স্থিতিশীল থাকবে। কোনো কোনো স্থানে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে বন্যার কোনো শঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ৪৬টি পয়েন্টের মধ্যে ত্রিশ পয়েন্টে পানি বাড়ছে। সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সুনামগঞ্জের ছাতক, দেরাই, মারকুলি পয়েন্টে সুরমার পানি বাড়ছে। আর যাদুকাটা, সোমেশ্বরী ও কংস নদীর পানি বাড়লেও বন্যার আশঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, আসামের শিলচরে ভারী বৃষ্টি কমে যাওয়ায় তিস্তা অববাহিকা এখনও স্বাভাবিক রয়েছে।