গত ২৪ ঘণ্টায় টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বাড়ছে। এছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ সকল নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলের দিকে ঢলের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। জাদুকাটা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ–তাহিরপুর সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলা সদরের যান চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
আজ সোমবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি আর ঢলের ফলে সুনামগঞ্জ–তাহিরপুর সড়কটি পানিতে তলিয়ে যায়। সড়কের দুই পাড়ে অন্তত শতাধিক পণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত যানবাহন আটকা পড়ে। এই সড়কে পানি আসায় বিকল্প হিসেবে মানুষকে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে করে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের একরাম হোসেন বলেন, ‘সকালে জেলা সদরে একটি কাজে যাওয়ার সময় শুকনা আছিল সড়ক। এখন আইসা দেখি পানিতে তলিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে নৌকা করে যাচ্ছি।’
তাহিরপুর সদরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে ঢাকা আসে প্রতিদিন। তারাও পণ্য খালাস করে আর সদরের দিকে যেতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছে চালকরা।
ঢাকা থেকে আসা ট্রাকচালক ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘রাতে এসেছিলাম কোম্পানির পণ্য নিয়ে। ফেরার পথে দেখি এই অবস্থা। এখন কীভাবে যে পার হব বুঝতে পারছি না।’
এদিকে, পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর উপজেলার কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সোমবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২২৬ মিলিমিটার।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এখন যেহেতু হাওরগুলো পানিতে ভরপুর হয়ে গেছে। সেহেতু এখন পানি বাড়লে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।