সিলেটের শাহপরাণ এলাকায় বিলাল মুন্সী নামের এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেরে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
নিহত বিলাল মুন্সী শাহপরাণ বাহুবল আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় রঙ মিস্ত্রী ছিলেন।
নিহতের এক ভাই বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষের মারামারি হয়। কিন্তু এই মারামারির সাথে আমার ভাইয়ের সম্পৃক্ততা নাই। সে ওইখানে মারামারির জন্য যায়নি, সে গেছিল বাজার করার জন্য। সেখানে যাওয়ার পর তারে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার ভাইকে ঘরের মধ্যে নিয়া তালাবদ্ধ করে টেম্পু মইন ও তাঁর ছেলে সোহেল, জাকির, রুবেল, দেওয়ান রফিক এরা মারছে। পায়ের রগ, হাতের রগ কেটে ফেলছে এবং মাথায় আঘাত করছে। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ জন্য সে মারা গেছে।’
বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘দুই পক্ষকে নিয়ে সালিস বসেছিল, সেখানে পুলিশ প্রশাসনও ছিল। সেখান থেকে উঠে গিয়ে দুই এলাকার লোকেরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। হয়তো সেখানে ছাত্রলীগের কিংবা অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জড়িত থাকতে পারে। আমরা সঠিক জানি না। আমরা আমাদের নেতাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানব।’
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন থেকে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় একটি সালিস বসেছিল। কিন্তু সেখানে সমাধান হয়নি। পরে আবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে গুরুতর আহত হন ওই যুবক। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।