দেশের বিভিন্ন স্থানে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। তবে অনেক জায়গায় বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। নাটোর ও দিনাজপুরে দেড় থেকে দুই টাকা কমলেও নওগাঁ, বগুড়ায় কমেনি চালের দাম। এদিকে বৃহস্পতিবার অবৈধ মজুদের দায়ে দিনাজপুরের একটি গুদামের ৫ হাজার বস্তা ধান জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সপ্তাহ দুই আগে নাটোরে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার কেজি প্রতি দেড় থেকে ২ টাকা কমে।
কুষ্টিয়ার খাজানগরের মোকামে কেজিতে চালের দাম কমেছে এক টাকা। তবে খুচরা বাজারে প্রভাব দেখা যায়নি। বগুড়ার পাইকারি এবং খুচরা বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।
চট্টগ্রাম ও নওগাঁর বাজারে বাড়তি দামে স্থিতিশীল রয়েছে। মোটা চালের ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪৫০ টাকা আর সরু চালের বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ৪৫০ টাকায়।
দিনাজপুরে তিন দিন আগেও মিনিকেট চালের কেজি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে বৃহস্পতিবার বিক্রি হয় ৬৩ টাকায়। কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা কমে ব্রি-২৮ চাল ৫৮ টাকা, গুটিস্বর্ণা ৪৫ এবং সুমন স্বর্ণা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, অবৈধ মজুদের অভিযোগে দিনাজপুরে ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজার বস্তা ধান জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সিলগালা করা হয়েছে গুদামটি।
দিনাজপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, গুদামটি অবৈধভাবে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ধান মজুত করে আসছিল।
এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মিল মালিকদের সঙ্গে কয়েকদফা বৈঠক করেন। তখন মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের চাল দাম কমাতে কড়া হুঁশিয়ার করেন। পাশাপাশি অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান।