প্রি-পেইড গ্যাস মিটারে আবাসিক গ্রাহকের খরচ কমে ৩০ ভাগ পর্যন্ত। জ্বালানি ব্যবহারে দক্ষতা বাড়লেও মিটার স্থাপনে দীর্ঘসূত্রতা রয়ে গেছে। তিতাস বলছে, শতভাগ গ্রাহককে প্রি-পেইড মিটারের আওতায় আনতে কমপক্ষে ৫ বছর লাগবে। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়তি বিল আদায়ের সুযোগ নিতেই মিটার স্থাপনে ধীরে চলো নীতি প্রতিষ্ঠানটির।
তিতাসের প্রিপেইড মিটার গ্রাহকদের দুই চুলার সংযোগে মাসিক খরচ ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকার মত। যেখানে মিটারহীন গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে নির্ধারিত ১ হাজার ৮০ টাকা। গ্যাস সংকটে থাকা গ্রাহকদের খরচ বাড়ে আরও।
একজন গ্রাহক বলেন, ‘সরকারকে গ্যাসের বিল দিয়ে কি লাভ? আমাদের তো সিলিন্ডার কিনে আনতে হচ্ছে। বাসায় তো গ্যাসই থাকে না।’
মিটারে গ্রাহকরা সুবিধা পেলেও, এর আওতা বাড়ছেনা প্রত্যাশিত গতিতে। তিতাসের মোট আবাসিক গ্রাহক ২৬ লাখের মতো। এরমধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজার সংযোগে প্রিপেইড মিটার স্থাপনেই সময় লাগে ৯ বছর। ২০১৫ সালে হাতে নেয়া প্রকল্প ৩ দফা সংশোধনের পর শেষ হয় চলতি বছরের জুন মাসে।
বিইআরসির সাবেক সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘কথা ছিল এটা প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর মতো, লাইক ডিপিডিসি মিটার আনবে। তাদের নির্দিষ্ট ঠিকাদার আছে, সেই ঠিকাদার এটা লাগিয়ে দিচ্ছে। যার কারণে অল্প সময়ের মধ্যে মিটারগুলো বসেছে। মিটার না আসার একটাই কারণ এগুলো আসলে তিতাসের লস।’
তিতাস বলছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১১ লাখ আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় সাড়ে ৬ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের দুই প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। ৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হবে ২০২৮ সালের মধ্যে।
কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ বলেন, ‘এখন ২০২৪, আছে আর ৪ বছর। এ সময়ের মধ্যেই আমরা চেষ্টা করব। সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার দেওয়া হবে। বাধ্য করা হবে প্রিপেইড মিটার নিতে।’
তিতাস সূত্রে জানা গেছে, জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি) সাড়ে ৩ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে।