গ্যাস অনুসন্ধান ও কূপ খননে আরেকটি সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গ্যাস প্রতিষ্ঠানটি এবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৪ নম্বর কূপের খনন শেষে নিচের স্তরে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জাতিকে সুখবর দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন শেষে গ্যাসের প্লেয়ার লাইনে আগুন দিয়ে ডিএসটি টেস্ট চালানো হচ্ছে। এই কূপে প্রতিদিন ১১ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা যাবে বলে আশা করছেন বাপেক্স কর্মকর্তারা। এ নিয়ে সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
কূপের খনন অধিকর্তা মো.আসাদুজ্জামান জানান, গত ২৯ এপ্রিল সোনাইমুড়ী উপজলায় অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪(ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপটি খনন কাজ শুরু করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খনন কাজ শেষ করে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে গ্যাসের প্লেয়ার লাইনে আগুন দিয়ে ডিএসটি টেস্ট চালানো হচ্ছে। কূপের প্রতিটি স্তরে কি পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স আল হেলাল বলেন, প্রাথমিকভাবে কূপটির ৩টি জোনের প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে বাখরাবাদের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার অহিদুল ইসলাম জানান, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জাতিকে সুখবর দিতে পারবেন তাঁরা। বাপেক্সের দুই শতাধিক প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
গ্যাস পাওয়ার খবরে বাপেক্সের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাশাপাশি খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পাশাপাশি এখানে উত্তোলিত গ্যাস যেন স্থানীয় লোকজন পায়।