বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ কমানোর প্রমাণ পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া, কোম্পানির ডিলাররা তেলের সঙ্গে অন্যপণ্য কিনতে বাধ্য করছেন দোকানীদের। আগামীতে এমন ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে অধিদপ্তর।
আজ রোববার রাজধানীতে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন আশ্বাস দিয়েছে, রমজানে বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট হবে না।
এক মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। পাঁচ ও ২ লিটারের বোতল নেই বললেই চলে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে মিলাররা সরবরাহ কমিয়েছে, এমন অভিযোগ করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
তাদের দাবি, সয়াবিন তেল পেতে আটা, ময়দা, চা, পোলাও চালের মত পণ্য কিনতেও বাধ্য করছে ডিলাররা।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময়ে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, বাজার ঘুরে দোকানিদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তারা। দেখেছেন, বোতলে মুদ্রিত দামের চেয়ে বাড়তি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘তেলের সাথে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হলে মিল মালিক বা ডিলারদের বিরুদ্ধে আইননুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তেলের মূল্য সম্পর্কে মিল মালিকদের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। ভোজ্যতেলের উৎপাদন এবং সরবরাহ কৃত্রিমভাবে বন্ধ করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মিল মালিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় আমদানি সংকট তৈরি হয়। তবে, এমাসের শেষ দিকেই আসবে বড় দুটি চালান।
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতাহার তাসলিম বলেন, ‘২২ তারিখ রাত থেকে জাহাজগুলো আসবে। ২৪ তারিখ ট্যাক্স পরিশোধ করবে। ২৬ ও ২৭ তারিখ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল এবং রমজানে যা লাগবে তার থেকে বেশি পরিমাণ মাল আসবে।’
বাজারে সময়মতো তেল সরবরাহ নিশ্চিতে মিলারদেরকেই নির্দিষ্ট ট্রাক ভাড়ার বিনিময়ে ডিলার ও পাইকারি পর্যায়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।