গ্যাস অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কূপ খননের জন্য চলতি বছরেই আরেকটি রিগ কেনা হবে। এ জন্য পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবের প্রাথমিক মূল্যায়ন করছে জ্বালানি বিভাগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে কূপ খনন ও উত্তোলন বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
এলএনজি আমদানিতে আরও দুই ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের কার্যক্রম থমকে গেছে। তাই শিল্প, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে গ্যাসের ঘাটতি কমাতে স্থানীয় উত্তোলন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। চলতি বছরের মধ্যে নতুন-সংস্কারসহ মোট ৫০টি কূপ খননের লক্ষ্য ছিল সরকারের। ১৬টি কূপ খনন শেষ হয় গতবছর। চলতি বছর ১১টি খনন করার কথা রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের।
কূপ খননের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন একটি রিগ কিনতে চায় পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে সর্বোচ্চ গতিশীল করতে আমরা চেষ্টা করছি। এখন ৫টা রিগ আছে, আরও একটা রিগ আমরা যুক্ত করতে যাচ্ছি। আমরা ডিপিপি এরইমধ্যে পাঠিয়েছি। বিভাগীয় মূল্যায়ন কমিটি বলে একটা কমিটি আছে, জ্বালানি বিভাগের।’
বাপেক্সের একটি কূপ খননে গড়ে খরচ ১০০ কোটির নিচে। অন্যদিকে বিদেশি কোম্পানি দিয়ে খননে ব্যয় হয় ১৮০ থেকে ২০০ কোটি টাকা। গ্যাসকূপ খনন ও আবিষ্কারে যথেষ্ট সফলতা থাকলেও বাপেক্স অবহেলিত ছিল বলে মত বিশ্লেষকদের। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিকে শক্তিশালী করতে সামনে বাজেটে বরাদ্দ রাখার তাগিদ তাদের।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘গ্যাস কূপ খননের জন্য অনুমোদন, এ কাজগুলোকে সর্বোচ্চ প্রাধিকার দিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। এ জন্য নতুন করে সরকারে যদি রিগ কেনার প্রয়োজন পরে অথবা রিগ যদি সরকার ভাড়ায় নিয়ে আসতে পারে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে সে বিষয়গুলো এখানে বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ আমাদের দীর্ঘমেয়াদে গ্যাসের সাপ্লাই অনেক বেশি প্রয়োজন রয়েছে।’
গত দেড় বছরে কূপ খননে পৌনে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিললেও পাইপলাইনের অভাবে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারে আসছে না। অর্থনীতির স্বার্থে এখাতেও দ্রুত বিনিয়োগ জরুরি বলে মত পর্যবেক্ষকদের।