শেয়ার বাজার তদারকিতে ব্যবহৃত সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের আলাদা সংযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে কারসাজি করেছেন খোদ বিএসইসির কর্মকর্তারা। ২০১৮ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত এ কারসাজিতে জড়িত ছিলেন একজন পরিচালক।
সোমবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে দুদকের ৪ সদস্যদের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে প্রাথমিক ভাবে এ তথ্য প্রমাণ পান।
পাচার ও বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাগারে রয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
তার প্রশ্রয়ে কমিশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও জড়িয়ে যান শেয়ার বাজার দুর্নীতির সাথে। যা উঠে এসেছে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। দুদকের ৪ সদস্যের তদন্ত দলও বিএসইসিতে এসে প্রাথমিক ভাবে এ তথ্য পান। অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়া সত্ত্বেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে সার্ভিল্যান্স কক্ষের আলাদা সংযোগ ব্যবহার করে একজন পরিচালক তা পর্যবেক্ষণ করতেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘একটি ডেডিকেটেড কানেকশন যেটা সার্ভিল্যান্স রুমের বাইরে একজন পরিচালকের রুমে ছিল। যেটা থাকার কথা ছিল না। পরবর্তীতি সেটা ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছিল। একটা অনিয়ম থাকতে পারে সেটা প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা করছি।’
দুদক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, ২৮ কোটি টাকার ক্যপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের নামে সাবেক কমিশনের দুর্নীতির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজু আহমেদ বলেন, ‘ এখন পর্যন্ত ওই সফটওয়্যারটা ব্যবহার করা হয়নি বা ইনস্টল করা হয়নি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটার পিসিআর হয়ে গেছে কিন্তু হস্তান্তর করা হয়নি। এখানে অনিয়ম থাকতে পারে। প্রকল্প পরিচালক যিনি ছিলেন তার সঙ্গে আমরা কথা বলার চেষ্টা করব।’
সুনির্দিষ্ট এসব বিষয়ে আরো তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।