এবার ঈদে নতুন নোট আসছে না, এমন ঘোষণার পরই খোলাবাজারে বেড়ে গেছে দাম। ১০ ও ২০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট কিনতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দিতে হচ্ছে। নতুন নোটের সংকটের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মে মাসেই জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি যুক্ত নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে।
ঈদে প্রিয় জনকে সালামী দিতে নতুন নোটের বিকল্প নেই। তবে এবার ঈদ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে ছাড়ছে না শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত নতুন নোট।
ফলে বিকল্প উপায়ে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন নোট কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন টাকা কেনায় ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। ১০ ও ২০ টাকার ১০০ টি নতুন নোট কিনতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।
নতুন নোট কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, ১০ টাকার এক বান্ডিন নতুন নোটে ৫০০ টাকা চাইছে।
আরেক ক্রেতা বলেন, খোলাবাজারে একটা নতুন ১০ টাকার নোট কিনতে গেলে দাম পড়ছে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোটের চাহিদা কম হলেও গত বছরের চেয়ে দাম বেশি। খোলাবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন নোটের সংকট দেখা দিয়েছে।
এক নোট বিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। যার লাগবে সে নেবে না লাগলে নাই।’
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এখন নতুন টাকা ছাড়লে তা বাজার থেকে তুলে নিতে দীর্ঘ সময় লাগবে। এছাড়া, জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি যুক্ত নতুন নোটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে এমন নকশাকৃত নোট মানুষ দেখতে চাইছে। সাময়িক সমস্যা হচ্ছে এটা অনস্বীকার্য। তবে মাস দুইয়ের মধ্যে নতুন নোট আসলে এ সমস্যার সমাধান হবে।’