গত বছরের জানুয়ারিতে মাঝ আকাশে জরুরি অবস্থা তৈরি এবং ২০১৮ ও ২০১৯ এ বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের দুটি প্রাণঘাতি দুর্ঘটনার পর মার্কিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের ওপর আমেরিকানদের আস্থা করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পরিবহণমন্ত্রী সিন ডাফি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার ডাফি আরও জানান, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) প্রতিষ্ঠানটির ওপর প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৩৮টি উড়োজাহাজ সরবরাহের যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে, তা তুলে নিতে প্রস্তুত নয়।
সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশন ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাফি বলেন, ‘যখনই আপনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকানদের বিশ্বাস ভঙ্গ করবেন, আমরা নিশ্চিত করব যাতে সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেন। তারা স্পষ্টতই মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে।’
ডাফি সম্প্রতি ওয়াশিংটনে বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কেলি অর্টবার্গের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে এফএএ–এর প্রশাসক ক্রিশ রোচেলিউও উপস্থিত ছিলেন। মূলত গত বছরে মাঝ আকাশে আলাস্কা এয়ারলাইনসের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজে যে জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেটির বিষয়েই আলোচনা করেন তারা। আগামী ২ এপ্রিল মার্কিন কংগ্রেসের সামনে সাক্ষ্য দেবেন অর্টবার্গ।
বোয়িং জানিয়েছে, নিরাপত্তা এবং উড়োজাহাজের মান সংক্রান্ত অগ্রগতি তুলে ডাফি ও রোচেলিউর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, তারা যাত্রীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করছেন।
শুক্রবার শিয়াটলে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাফি জানান, বোয়িংয়ের নতুন নেতৃত্ব উন্নতি করছে। তিনি বলেন, ‘তারা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছেন। আমার মনে হয় তারা উন্নতি করছেন তবে আস্থা ফিরতে আরও সময় লাগবে।’
গত বছরের জুলাইয়ে একটি ফৌজদারি মামলায় দোষ স্বীকার করতে রাজি হয় বোয়িং। একই সঙ্গে ২৪৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়।