আসন্ন বাজেটে বাড়বে ব্যক্তি শ্রেণির করের সর্বোচ্চ হার। পাশাপাশি কর মুক্ত আয়ের সীমাও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। মঙ্গলবার রাজস্ব ভবনে এক প্রাক বাজেট আলোচনায় এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় ঢাকা চেম্বারের নেতারা ব্যক্তি করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি জানান।
বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা পুরুষদের ক্ষেত্রে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, আর নারীদের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ কর হার ২৫ শতাংশ ।
আসন্ন অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি কর জাল বাড়ানোর প্রস্তাবও দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনটির সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির একটা বড় চ্যালেঞ্জ সামনে আছে। লোয়ার মিডল ইনকামদের ওপরে আপনার যে সাড়ে ৩ লাখ টাকার একটা ক্যাপ আছে, ওটাকে ৫ লাখ পর্যন্ত করে, অন্তত ২–৩ বছরের জন্য ওই আয় সীমার মানুষ যাতে একটু রেহাই পায় এবং মূল্যস্ফীতিটা যাতে একটু লাঘব হয়।’
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানান, উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যক্তি করের হার অনেক কম। তাই কোম্পানির নয়, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ কর বেশি হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সরে গেছি যেটা উল্টো রেজাল্ট দিয়েছে। একবার ৩০ শতাংশ বসাই, আবার উঠায় দেই। এই যে বসেছে এটাকে আর ওঠানো ঠিক হবে না। বরং ধীরে ধীরে এটাকে আরও বাড়ানো সম্ভব।’
এসময় ঢাকা চেম্বার সহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক আমদানিতে আগাম কর কমানোর দাবি জানান। পাশাপাশি ভ্যাটের হার এক অংকে আনার প্রস্তাব করেন তারা।