২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পথে এখনো অনেক সূচকে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না উন্নয়ন পরিকল্পনার ঘাটতির কারণে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এসডিজি পর্যালোচনায় অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার না থাকলে তাদের ভোট দেওয়া উচিত নয়।
কাউকে পেছনে না রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে জাতিসংঘের ঘোষিত রোডম্যাপ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি। ২০৩০ সালের মধ্যে সেই লক্ষ্য অর্জনে লিঙ্গ সমতা, শহর-নগর আঞ্চলিক বৈষম্য, আয় বৈষম্য, শোভন চাকরি, প্রতিবন্ধীদের জীবনযাত্রা, শিশুমৃত্যুসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি যথেষ্ট নয়। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আলোচনায় বলা হয়, ২ দিন কাজ না করলেই দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হওয়ার ঝুঁকি আছে।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থাকেন, তারা যেহেতু আমার সঙ্গে একই রাস্তায় চলেন তারা রাস্তা উন্নয়নে যতটুকু আগ্রহী হন তাদের ছেলে মেয়েরাতো আর আমার যারা দরিদ্র মানুষ আছেন, সেই একই স্কুলে বা একই হাসপাতালে যান না। সুতরাং শিক্ষা বা স্বাস্থ্যে তাদের এতটা আগ্রহ থাকে না।’
আলোচনায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি বলেন, চাহিদা ভিত্তিক নীতির পরিবর্তে নাগরিক অধিকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি গুরুত্বপূর্ণ।
ইউএনডিপি প্রতিনিধি বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য উন্নয়নের বড় বাধা।
এসময় নাগরিক প্লাটফর্মের মুখ্য সমন্বয়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, বাংলাদেশে গড়ে উন্নয়ন হলেও অর্থনীতিতে বৈষম্য ও ভঙ্গুরতা প্রকট। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির মধ্যে, প্রতিটি ক্ষেত্রে যেটা আপনারা আজকে বলেছেন শিক্ষা হোক, স্বাস্থ্য হোক, জনসেবা হোক, পরিবহন হোক, প্রতিটি ক্ষেত্রে আমার পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা যদি আলাদাভাবে না থাকে তাহলে ওই নির্বাচনি ইশতেহার আমরা গ্রহণ করব না।’
নির্ভরযোগ্য সরকারি তথ্যের অভাব রয়েছে জানিয়ে বৈষম্য বিরোধী আইন করার তাগিদ দেন বক্তারা।