এপ্রিলে আবারও বাড়তে পারে উড়োজাহাজ ভাড়া। কিছু ট্রাভেল এজেন্ট-এয়ারলাইনস সরকারি নির্দেশনা না মানায় তৈরি হয়েছে এই শঙ্কা। এর আগে, পাসপোর্টের বিপরীতে বুকিংয়ের বাধ্যবাধকতায় কমে মজুতদারি, এতে টিকিটের দামও কমে যায় এক লাখ টাকা পর্যন্ত। সেই সুবাতাস ধরে রাখতে কঠোর নজরদারির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাসপোর্টের কপি দিয়ে বিমানের টিকিট বুকিং করার নির্দেশনা আসে ১১ ফেব্রুয়ারি। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরই উড়োজাহাজের ভাড়া চোখে পড়ার মতো কমে যায়।
ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ জানান, নতুন নিয়মের পর আগে থেকেই ব্লক করে রাখা টিকিট বাজারে ছেড়ে দেয় বিভিন্ন সংস্থা। ফলে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা। বিমান সংস্থাগুলো পড়ে প্রতিযোগিতায়, কমে দাম।
গত ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবের বিভিন্ন গন্তব্যের টিকিটের দাম বেড়ে হয়েছিল সর্বোচ্চ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কমে, টিকিট মিলছে ৫০ হাজার টাকায়। এমনকি ৩৫ হাজার টাকায় কিছু বিমান সংস্থা দাম্মাম ও রিয়াদ যাওয়ার টিকিট দিচ্ছে।
তবে রমজানে এমনিতেই ভাড়া কমে বলে দাবি করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ বোসরা ইসলাম।
এদিকে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলছেন, ট্রাভেল এজেন্ট ও রিক্রুটিং এজেন্টরা যোগসাজশে যেন টিকিটের ভাড়া বাড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
আটাব জানায়, দেশে বৈধ ট্রাভেল এজেন্সি আছে সাড়ে পাঁচ হাজার। কিন্তু টিকিট ব্লকের অভিযোগ আছে ৪০ থেকে ৫০টির বিরুদ্ধে। এই সিন্ডিকেট দ্রুতই ভাঙতে হবে।