গত মৌসুমে দেশে ধানের ফলন ছিল সন্তোষজনক। চাল আমদানিও হয়েছে পর্যাপ্ত। তারপরও চালের বাজার চড়া। ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত এক বছরে সরু চালের দাম বেড়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ। আর মোটা চালের দাম প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে। চালের দাম না কমায় বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ।
বাজারে এসেছে আমন মৌসুমের নতুন চাল। গত আমন মৌসুমে ১ দশমিক ৭১ কোটি টন ও বোরো মৌসুমে ২ দশমিক ১০ কোটি টন চালের ফলন হয়েছে। এদিকে, গত বছরের নভেম্বর থেকে চালের আমদানিও পর্যাপ্ত। চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ২০ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। যদিও, ভোক্তারা এর সুফল পাচ্ছেনা। বাজারে এখনও চড়া চালের দাম।
ঢাকার বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে, মাঝারি পাইজাম ও ব্রি-২৮ চাল ৫৬ থেকে ৬৪ টাকায়, আর সরু মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।
ঢাকার একজন চাল বিক্রেতা বলেন, ‘বাহিরে থেকে চাল আমদানি করেছে। আমদানির পরও চালের দাম কমে নাই, দিন দিন আরও বাড়ছে। আমরা আশাবাদী সামনে সিজন আসছে, তখন হয়ত চালের দামটা কমবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চাল আমদানির অনুমতি আছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এদিকে, আমদানি বন্ধের অজুহাতে হিলি স্থলবন্দরের স্থানীয় বাজারে সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
হিলির একজন বিক্রেতা বলেন, ‘চালের বাজারে উর্ধ্বগতির কারণ জানতে চাইলে আমদানিকারকরা বলেন যে, ১৫ এপ্রিল থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। এই নোটিশের পর থেকে চালের দাম ২/১ টাকা কেজিতে বেড়েছে।’
পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও চালের দাম না কমায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য না কমলে বাজার স্বাভাবিক হবেনা।
রাজধানীর একজন ক্রেতা বলেন, ‘অ্যানালাইসিস করে একটা ধারণা দিত যে দাম এমন হতে পারে, তাহলে আমরা বুঝতে পারতাম যে সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বাড়ছে। সরকারের গাফিলতি আছে কিনা আমি জানিনা, তবে তাদের মনিটরিং টিমের অবশ্যই ঘাটতি আছে।’
এদিকে, শনিবারও ভারত থেকে ৩৬ হাজার টন আমদানিকৃত চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।