২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন বা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পেছনে ফেরানোর কোনো পথ খোলা নেই।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী আরও জানান, উত্তরণের পর প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে সুশাসন ব্যবস্থা। এরই মধ্যে এলডিসি উত্তরণে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে, যা সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
২০১৮ সালে প্রথম নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন হওয়ার কথা থাকলেও হোঁচট খায় করোনায়। এ সময় এ কার্যক্রম প্রলম্বিত হয় ২০২৬ সাল পর্যন্ত।
এমন বাস্তবতায় এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকার। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী জানান, ২০২৬ সালের উত্তরণ পেছানো অবান্তর।
বিশেষ সহকারী বলেন, ‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন উত্তরণে যাবে। বাংলাদেশের চেয়ে অনেক দুর্বল দেশ এলডিসি উত্তরণের বেরিয়ে গেছে। তারা পারলে আমরা কেনো পারবো না। মাঝপথ থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরও কিছু কাজ আছে।’
ড. আনিসুজ্জামান জানান, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে, তা মনিটরিং করবে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি। এছাড়া দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে ট্রেড নেগোসিয়েশন বডি গঠনের কথাও জানান তিনি।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘অনেক কিছুর ওপর চাপ আসতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এনিয়ে একটি কমিটি কাজ করবে। প্রধান উপদেষ্টা সহযোগিতা করবেন। বিগত সরকারের যেসব পরিসংখ্যানে ভুল রয়েছে তা নিয়ে কাজ করার সময় নিয়ে এখন নয়। এলডিসি গ্রাজুয়েশনে কী সুবিধা পাবো, সেই প্রশ্ন অবান্তর। আমাদের সুবিধা তৈরি করে নিতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে বসে থাকার মনোভাব পরিহার করতে হবে। ভিক্ষার মানসিকতা কলোনিয়াল হ্যাংওভার। বাংলাদেশ এখন ভিক্ষা করার পরিস্থিতিতে নেই।’
এ সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ এটি।
ট্রাম্প ঝড়ে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।