আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যবসা বান্ধব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। মঙ্গলবার এনবিআরে এক প্রাক বাজেট আলোচনায় তিনি জানান, তাই সে পরিবেশ তৈরিতে এনবিআর কাজ করছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, রাজস্ব আয় বাড়িয়ে কর ফাঁকি ধরা হবে। অবশ্য ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বর্তমান ট্যাক্স পলিসি কোনোভাবেই ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব নয়।
দেশের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পের উৎপাদন।
পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট বিবেচনায় নিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ঝুঁকছে অনেকে। ব্যবহার বাড়ছে সোলার প্যানেলের। তাই ১০ কিলোওয়াট এর বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার ইনভার্টার আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব উদ্যোক্তাদের। এতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, আমরা সেখানে সরকারের সহযোগীর ভূমিকায় থাকছি এই সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এটার ওপর আমি মনে করি, সরকার কোনো কিছু না রেখে এটাকে সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেওয়া উচিত। এতে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবে।’
বাজেট আলোচনায় আগামী অর্থবছরে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ১২ শতাংশ করার দাবি, খাত সংশ্লিষ্টদের। এদিকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে ভ্যাটমুক্ত রাখার প্রস্তাব দেয় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘একটা রিডিউস রেটে ট্যাক্স দেবেন এর পর ১১ বছর পর উনি রেগুলার ট্যাক্সে চলে আসবেন, এগুলো আমাদের আছে। সেটা থাকবে। কিন্তু এর বাহিরে যে আমরা বিভিন্ন ধরনের এসআরও করে নানাজনকে অব্যাহতিগুলো দিলাম এর থেকে আমরা এখন সরে আসার চেষ্টা করব, যদি আপনারা সবাই একমত হন।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভোগ্যপণ্য আমদানিতে এখনো শুল্ক বাড়তি রয়েছে। তাই ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে করের বোঝা কমানোর আহ্বান তাদের।