তিন দফা বৈঠকের পর প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়াল সরকার। এতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৫ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১৮৯ টাকা। বাড়তি দামে বিক্রির খবরে বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
গত বছরের ডিসেম্বরে সবশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে লিটারপ্রতি নির্ধারণ করা হয় ১৭৫ টাকা। ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ মার্চ। ফলে চলতি মাসের শুরু থেকে আবারও দাম বাড়াতে ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দেন ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা মালিকরা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে এক সভা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে তথ্য জানান। সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম ঘোষণা করার ফলে এখন থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৮৯ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়েছে।
বাড়তি দামের খবরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেলের সংকটের খবর পাওয়া গেছে। অনেক ক্রেতাই তেল কিনতে গিয়ে ফিরে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
তেলের দাম বাড়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে ভোগান্তিতে ক্রেতারা। তবে বন্ধ থাকা ভোজ্যতেল কারখানা আবার চালু করে বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি করা হলে, দাম কমে আসবে বলে আশা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন এবং আমদানির মাধ্যমে প্রায় ৯০ শতাংশ পূরণ করা হয়।
