রমজান মাসে বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলেও এখন তা বাড়তে শুরু করেছে। গেল তিন দিনের ব্যবধানেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। আর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১৪ টাকা। এছাড়া, বাজারে রয়েছে ভোজ্যতেলের সংকট। সবজির বাজারও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়ছে।
সাধারণত রমজান মাস আসলে পণ্যের দাম বাড়ে। তবে, গেল রোজায় প্রায় সব পণ্যের দাম ছিল নাগালের মধ্যে। কিন্তু, এখন সেসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, করলা ৮০ থেকে ১০০, দেড়শ ৬০ টাকা এবং বেগুন মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির মধ্যে কাকরলের দাম সবচেয়ে বেশি। প্রতিকেজি ১৪০ টাকা। রোজার সময় এসব সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।
রমজানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কয়েকদিনেই সেই পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ১০ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। মঙ্গলবার সয়াবিন তেলের দামও প্রতি লিটারে বাড়ানো হয় লিটারে ১৪ টাকা। এছাড়া, দোকানীরা অর্ডার দিয়েও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত তেল।
সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘রমজানের পর কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তি। যেমন– কাকরল, পটল এগুলো নতুন। এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। বাজারে এসব পণ্য সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে যাবে।’
তেল বিক্রেতা বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা তেল পাচ্ছি না। গত দুই দিন আগে অর্ডার নিয়ে গেছে, এখনো তেল পাইনি। দোকান খালি।’
পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
বাজারে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘হঠাৎ করে সরকার দাম বাড়িয়েছে। বিগত দিনেতো আরো দাম বেশি ছিল। দাম কমছে আবার বাড়ছে।’
অপর একজন ক্রেতা বলেন, ‘সকল সবজির দাম বাড়তির দিকে। আমি মনে করি যে, সরকারের আরেকটু এদিকে নজর দেওয়া দরকার। আমার মনে হয়, সেই আগের মতো সিন্ডিকেটের দিকে যাচ্ছে।’
ভোগান্তি কমাতে হলে বাজার মনিটরিং বাড়ানো তাগিদ ভোক্তাদের। এছাড়া, পণ্য পরিবহন খরচ কমাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার কথাও জানান তারা।