ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধে খরচ বাড়বে উদ্যোক্তাদের। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। ব্যবসায়ী নেতাদের অভিযোগ, সরকারের এই সিদ্ধান্ত শিল্পের বিরুদ্ধে গেছে। এতে দেশি সুতার বাজার একতরফা হওয়ার সুযোগ দেখছেন তাঁরা। আর অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেশি শিল্পের সুরক্ষা সম্ভব নয়।
দেশে উৎপাদিত ও চীন, তুরস্ক, থেকে আমদানি করা সুতার দাম প্রায় একই। তবে স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম কম। এতে দেশি সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনে দেশের স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুবিধা বন্ধ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আসে ৪০ থেকে ৫০ টনের মধ্যে। অন্যদিকে সমুদ্র পথে আসে ৫০০ থেকে ১০০০ টন পর্যন্ত। স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ হওয়ায় তাঁদের খরচ বাড়বে।
স্থলবন্দরে সূক্ষ্মতা ও স্থূলতা মাপার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকার সুযোগ নিয়ে অনেকেই মিথ্যা ঘোষণায় সুতা এনেছেন। এতে শুল্ক হারায় সরকার। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শুল্ক আদায়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি।
অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর বলছেন, এমনিতেই জ্বালানি সংকটে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তার ওপর স্থলবন্দরে সুতা আমদানি বন্ধে চাপে ফেলবে উদ্যোক্তাদের।
গত বছর প্রায় ১২ লাখ টন সুতা আমদানি করেন দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।