রোজায় সাময়িক স্বস্তির পর আবারও বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, ঢেড়স, ঝিঙা, কাঁকরোল, করলা, পটলসহ বেশ কিছু মৌসুমি সবজি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৪টি সবজির মধ্যে গত এক মাসে বেড়েছে সাতটির দাম। বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
বাজারে আসতে শুরু করেছে হরেক রকম গ্রীষ্মের সবজি। তবে দামে নেই স্বস্তি।
মৌসুমি সবজি ৮০ টাকার নিচে মিলছে না। প্রতি কেজি পটল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢেড়স বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকা দরে। এছাড়াও, প্রতি কেজি বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা। চড়া দামে সবজি কিনতে এসে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘নতুন যে সবজিগুলো সবগুলোরই দাম বেশি। লাউ ১০০–১২০ টাকার নিচে দিচ্ছে না। অন্যান্য সবজি, সব ১০০ টাকা।’
এদিকে, নতুন আসা সবজির চাহিদাও বেশি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙা-ধুন্দলও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা বলছেন, হাত বদলের ফলে সবজির দামও বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘প্রত্যেকটা হাত বদলের পাশাপাশি কেজিতে ১০–২০ টাকা বেড়ে যায়।’
তবে শাকের দাম কিছুটা কম। ডাঁটাশাক প্রতি আঁটি ৩০ টাকা এবং লালশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এছাড়াও প্রতি আঁটি পুঁই বা লাউশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে।
একজন শাক বিক্রেতা বলেন, ‘পুঁইশাকের এখন সিজন, সে হিসেবে দাম কমই আছে। লাউ শাক, পালং শাকও পাওয়া যাচ্ছে, সিজনের না হলেও।’
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচ ও টমেটোর দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। কাঁচামরিচ ৮০ এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘প্রত্যেকটা জিনিসেরই দাম অনেক বেশি। পেঁপে কেউ খায় না, অথচ দাম ৭০ টাকা কেজি। পটল ১৪০ টাকা কেজি।’
কাঁচাবাজারে স্বস্তি চান ক্রেতারা। সবজি যেন শীত মৌসুমের মতো সহনীয় মূল্যে পাওয়া যায়, সে দাবি তাদের।