১৫ বছর পার হলেও এখনো মানা হচ্ছে না পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন। এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগ। ব্যবসায়ীদের দাবি, সহজলভ্য না হওয়া ও বেশি দামের কারণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আইন প্রয়োগে দুর্বলতা থাকলেও পাটের ব্যবহার বাড়াতে বরাবরের মতোই আশ্বাস দিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
পাট শিল্পের স্বার্থ রক্ষা ও ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার সীমিত করতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন। কিন্তু যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এসব পণ্য মোড়কজাত করা হচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগেই।
চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ ১৯ টি পণ্য এবং পোল্ট্রি ও ফিশ ফিডে পাটের ব্যাগের ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না। আমদানির বেশির ভাগ পণ্য আসছে প্লাস্টিকের ব্যাগে। আবার দেশীয় পণ্যও বাজারজাত হচ্ছে পাটের ব্যাগ ছাড়াই। দেশের বড় ভোগ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক ব্যবহার করছে বেশি। আইনের বাধ্যবাধকতার কথা প্রায় ভুলেই গেছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
পাটের ব্যাগ ব্যবহারে অনীহার জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, ‘এখাতে কিছুটা খরচ বেশি হলেও আমি মনে করি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তত একটা রক্ষাকারী উপায় বের হবে।’
পাটের ব্যাগ যথাযথভাবে ব্যবহার না হওয়ার কথা স্বীকার করছেন মন্ত্রণালয়ের সচিবও। নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও সরকার সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিতে উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘সবকিছুর একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এক কথায় হচ্ছে, এর ওপর জোর দেওয়া সম্ভব না।’
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অমান্য করলে এক বছরের কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।