শেয়ার বাজারের কাঠামোগত উন্নয়ন করতে টাস্কফোর্স গঠন করা হলেও নেই কোনো অগ্রগতি। প্রায় ৭ মাস পার হলেও শেয়ার বাজারে নেই এর কোনো প্রভাব। প্রতিদিনই সূচকের সঙ্গে কমছে বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও। তবে টাস্কফোর্স সদস্য বলছেন, ইতোমধ্যেই সংস্কারের খসড়া জমা দেওয়া হয়েছে, শিগগিরই এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
বিগত বছরগুলোতে সুশাসনের অভাবে দুর্নীতি আর অনিয়মে ডুবে ছিল দেশের শেয়ার বাজার। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, গেল অক্টোবরে শেয়ার বাজারের উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক মানের সুশাসন নিশ্চিতে ৫ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
তবে, কাঠামোগত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ এখনও নেই শেয়ার বাজারে। বিনিয়োগকারীদের অনেকেই সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন। গত আট মাসে প্রায় ২১ হাজার বিনিয়োগকারী নতুন করে বিও অ্যাকাউন্ট খুললেও একই সময়ে প্রায় ৪৮ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি শেয়ারশূন্য হয়েছে। অব্যাহত দরপতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আ ন ম আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, ‘বাজারকে স্থিতিশীল রাখার জন্য যে ধরনের উদ্যোগ দৃশ্যমান হওয়া দরকার, যে উদ্যোগে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা দেখা দিত সে ধরনের উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যার কারণে মূলত বাজারে এই অবস্থা বিরাজ করছে।’
টাস্কফোর্স বলছে, ইতোমধ্যেই মিউচুয়াল ফান্ড, মার্জিন ঋণ এবং আইপিও ইস্যুতে কিছু বিধিবিধান সংশোধনের খসড়া জমা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সংস্কারের প্রভাব দেখা যাবে বলে আশা তাদের।
শেয়ার বাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য আল আমিন বলেন, ‘এই জায়গাগুলোতে আসলে আমরা কাজ করলে আল্টিমেটলি বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে। যারা এগুলো করছে তারা দায়ী হবে। আমরা ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রত্যক অংশীজনের সঙ্গে যেহেতু কথা বলতে হচ্ছে সে জন্য আমাদের কাজগুলো ফাইনাল স্টেজে আসতে সময় নিচ্ছি।’
আগামী মাসের মধ্যে শেয়ার বাজারে সুশাসন নিশ্চিতে জনবল কাঠামো এবং তাদের দায়বদ্ধতা ইস্যুতে প্রস্তাব দেয়ার কথা রয়েছে টাস্কফোর্সের। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত বিষয়েও কিছু সংস্কার প্রস্তাব করা হবে।