চলতি অর্থবছর শেষে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আর্থিক চাপে এই প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আর্থিক চাপকে এর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হবে বলেও জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, যা গত ৩০ বছরে সর্বনিম্ন। এতে স্পষ্ট যে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগপ্রবণতা অত্যন্ত দুর্বল।
সরকারি বিনিয়োগেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, কারণ মূলধনী ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, বৈদেশিক খাতে চাপ কিছুটা কমেছে এবং চলতি হিসাব ঘাটতি সংকুচিত হয়েছে।
এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা বিশ্বব্যাংকের। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে। তবে ২০২৬ সালে এটি ৬ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার জন্য এই হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ।