বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে ছোট হচ্ছে দেশের শ্রমবাজার। এক বছরে জনবল রপ্তানির পরিমাণ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। মোট জনশক্তির প্রায় ৯৫ শতাংশ রপ্তানি যাচ্ছে পাঁচ-ছয়টি দেশে। শ্রম বাজার সম্প্রসারণে কূটনৈতিক তৎপরতা এবং প্রধান উপদেষ্টার ভাবমূর্তিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিদেশে যান ১৩ লাখ ৭ হাজার ৮৯০ কর্মী। ২০২৪ সালে যান ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশই গেছেন সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
এ বছর জানুয়ারিতে ৯৭ হাজার ৮৬৭ জন বিদেশে গেলেও ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৪৩৬ জনে।
মালয়েশিয়া, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিক সংখ্যা কমার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শ্রমবাজারে। সৌদি আরব ও কাতারে নিয়োগ কমা এবং মালয়েশিয়া, ওমান ও বাহরাইনে শ্রমবাজার বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, ভিসা বাণিজ্য করে অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর প্রভাব পড়ছে শ্রমবাজারে।
সৌদিতে একক ভিসার ক্ষেত্রে অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জানিয়েছে এজেন্সিগুলো।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা)সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বন্ধ করতে হবে সিন্ডিকেট।
অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) চেয়ারপারসন শাকিরুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ মালয়েশিয়ায় সাড়ে তিন লাখ কর্মী রপ্তানি হলেও ২০২৪ সালে এক লাখেরও কম কর্মী পাঠানো হয়েছে। ২০২৩ সালে সোয়া লাখের বেশি কর্মী পাঠানো হয় ওমানে। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ৩৫৮ জন কর্মী পাঠানো হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২৩ সালে প্রায় এক লাখ কর্মী রপ্তানি করা হয়। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৭ হাজারে। দক্ষ কর্মী না থাকায় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানেও বাংলাদেশি কর্মী কম যাচ্ছে।
রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, কঙ্গো, ইরাক ও ইরানে নতুন করে কর্মী পাঠাচ্ছে সরকার।