লাভের আশায় বেশি উৎপাদন করে আলু নিয়ে এখন সংকটে পড়েছে কৃষক। সংরক্ষণ করতে না পেরে বাজারে কম দামেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এতে বাজারে আলুর দাম কমছেই। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। তাই, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে হিমাগারগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো ও খরচ কমানোর পরামর্শ দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি আলু রপ্তানি বৃদ্ধিতেও জোর দেয় সংস্থাটি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ক্রেতার অভাবে অবসর সময় পার করছেন পাইকারি আলু বিক্রেতারা। প্রকারভেদে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু। আর খুচরায় দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, একে দাম কম, তার উপর বেচাকেনাও নেই। এতে লাভ তেমন হচ্ছেনা।
আলু কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘পাবলিক তো চাচ্ছে, ২০ টাকা কেন ১০ টাকা হলেও তো তাদের জন্য ভালো। কৃষকের দিকে তো পাবলিক চায় না। সমস্যা তো এখানেই।’
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘যারা কৃষক, যারা এটা চাষ করেছে, তারা কিন্তু প্রকৃত দাম পাচ্ছে না। কিশোরগঞ্জের আলু ১১ টাকা কেজি আর উত্তরবঙ্গের আলু ১২ টাকা কেজি, আর রাজশাহী বিক্রি করছি ১৩ টাকা। এই হলো অবস্থা। বেচা কেনা নাই। আলুর দাম কমে গেলে আর কদর থাকে না।’
এদিকে আলু সংরক্ষণ ও বিপণন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় শেষে ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, ন্যায্য দাম না পেলে আলুর আবাদে নিরুৎসাহিত হবেন কৃষক। তাই চাহিদার চেয়ে উৎপাদিত অতিরিক্ত আলু রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি হিমাগারগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশও করা হয়।
সংস্থাটির মহাপরিচালক আলীম আখতার খান বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব, যাতে করে এই আলুর প্রকৃত চাহিদা উৎপাদন বা জোগানের মধ্যে প্লাস মাইনাস ঘাটতি অথবা উদ্বৃত্ত এবং আলু সংরক্ষণের কৌশল কিভাবে নির্ধারণ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা ওনাদের অনুরোধ করব।’
এসময় জানানো হয়, চলতি মৌসুমে দেশে প্রায় ৯০ লাখ টন আলুর উৎপাদন হয়েছে। তবে এর মাত্র অর্ধেক সংরক্ষণ করতে পেরেছেন কৃষকরা।