বিশ্বজুড়ে অস্থিরতায় অর্থনৈতিক সংস্কারগুলো শুধু প্রয়োজন নয়, তা বাধ্যতামূলক বলে মনে করেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে আর্থিক খাতের সংস্কারগুলো দৃশ্যমান হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ফলে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করা ও শুল্কনীতির প্রভাব পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে এই সেমিনার।
এসময় আইসিসিবির চেয়ারম্যান জানান, দেশের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা শুল্ক বাস্তবায়িত হলে ব্যাংকিং খাতে যথেষ্ট চাপ তৈরি হবে। তবে, শুল্কনীতিকে একটা সুযোগ হিসেবে নিয়ে অর্থনীতির বহুমুখীকরণ করা যেতে পারে বলে জানান আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স গ্লোবাল ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান।
আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ট্রাম্পের শুল্ক নীতি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে, রপ্তানি আয় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল খাতগুলো যথেষ্ট চাপের মধ্যে পড়বে।’
আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্স গ্লোবাল ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান ফ্লোরিয়ান উইট বলেন, ‘বাংলাদেশ গত কয়েক দশক ধরে বিনিয়োগে উন্নতি করছে। আমরা বাংলাদেশের অথ্নীতির উন্নয়নে সব সময় সহায়তা করবো।’
এদিকে, দেশের অর্থনীতির সংস্কারে নেয়া পদক্ষেপগুলো খুব দ্রুত দৃশ্যমান হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবার সাথে কথা বলেছি, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নেয়া আমাদের পদক্ষেপগুলো দ্রুত দৃশ্যমান হবে।’
এ সময় ডলারের বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করা সহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে ঋণের সুদহার কমানোর দাবিও জানান বক্তারা।