এবারও স্থানীয়ভাবেই কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। এজন্য সীমান্তে গরু পাচার ঠেকাতে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। এরইমধ্যে বিজিবি বেশকিছু পশু জব্দও করেছে। এদিকে খামারিদের ধারণা, এবার লাভ কম হবে। এজন্য খাবারের বাড়তি দামকে দুষছেন তারা।
কোরবানির পশু বিক্রিতে গতবার ভালো ব্যবসা করেছেন নাটোরের খামারিরা। এবার আরও বেশি গবাদি পশুর পরিচর্যা করা হচ্ছে এসব খামারে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে, প্রায় আড়াই লাখ পশু বাইরের জেলায় বিক্রি করা হবে। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। তবে খাদ্যের দাম বাড়ায়, এবার লাভ কম হওয়ার শঙ্কায় খামারিরা।
একজন খামারি বলেন, মাংসের তুলনায় খাবারের দাম অনেক বেশি। তাই গরু পালন করে লাভ হচ্ছে না।’
ঈদুল আজহার জন্য ৮৭ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত করছেন ফেনীর খামারিরা। প্রশাসন বলছে, প্রান্তিক খামারিদের কথা চিন্তা কোরে, সীমান্তে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। গেল ২ মাসে ২৬ লাখ টাকা মূল্যের পাচার করা গরু জব্দ করেছে বিজিবি।
ফেনী বিজিবি–৪ এর লে. কর্নেল মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরাও চাই না আমাদের খামারিরা কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তাছাড়া এটা একটা অবৈধ কাজ। আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে আছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। তবে লালন-পালন করা হচ্ছে এর চেয়ে বেশি। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, গরু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েডের ব্যবহার বন্ধে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে খামারিদের।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানির গরুর যে চাহিদা, এটাকে ফিলআপ করে আমরা অন্য জেলা বা ঢাকায় আমরা সরবরাহ করতে পারব। আরেকটা বিষয় হলো যে কোরবানির হাটে আপনারা জানেন বরাবরের মতো এবারও মোবাইল ভ্যাটেনারি টিম থাকবে।’
হবিগঞ্জে ৬৫ হাজার পশুর চাহিদা এবার। বিপরীতে, ৯ উপজেলায় প্রস্তুত আছে ৭০ হাজার ৭০০।
প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচর্যা নিশ্চিতে, কাজ করার কথা জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।