সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান তেমন সাড়া ফেলতে পারছে না কৃষকদের মধ্যে। সরকারি গুদামে ধান-চাল দেওয়ায় পরিবহন খরচসহ নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয় কৃষকদের। আর দামও বাজারের মতো নয়। তাই হাটে বা ব্যাপারিদের কাছে ধান বিক্রিতে আগ্রহ বেশি কৃষকের।
সরকারি সংগ্রহ অভিযানের জন্য এবার ধানের দাম বাড়িয়ে প্রতিমণ ১৪৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পরও সরকারি গুদামে ধান-চাল দেওয়ায় আগ্রহ কম নাটোরের কৃষকদের।
কুষ্টিয়ার চাষিরা বলছেন, সরকারকে ধান দিতে ভালো করে শুকিয়ে পরিবহন খরচ দিয়ে নিতে হয় গুদামে। অন্যদিকে ভেজা-শুকনো সব ধরনের ধানই ব্যাপারি নিয়ে যান বাড়িতে এসে। তাই সরকারের কাছে ধান বিক্রির চেয়ে ব্যাপারিদের কাছে ধান দেওয়ায় ঝক্কি কম।
পাবনার হাট-বাজারে মোটা ধান ১২৭০ টাকায় ও চিকন ধান ১৬০০ টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন, সরকারি গুদামে বাজারের চেয়ে দাম কম, সঙ্গে ঝক্কি-ঝামেলাও বেশি। আবার ধান দেওয়ার পর টাকা পেতে অপেক্ষা করতে হয় বেশ কয়েকদিন।
একই অবস্থা লালমনিরহাট, রাজশাহীসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে। তবে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ধানের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নানা উদ্যোগে এবার সংগ্রহ বাড়বে।
চলতি বছর রাজশাহী অঞ্চলে ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ২ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।